স্টাফ রিপোর্টার :
একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায়
নিজের মাথা কেটে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে এমসি গ্রহণ পুর্বক নিজ স্বামীসহ অপর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে আছিয়া খাতুন নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এভাবে নিজের মাথা কেটে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এমসি গ্রহণ করে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষীবিষ্ণ প্রসাদ গ্রামে। এব্যাপারে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্যঘটনা উদঘাটন পুর্বক ন্যায় বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের লক্ষীবিষ্ণ প্রসাদ গ্রামের মনছুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী খাতুনকে মনছুর আলীর প্রথম স্ত্রী আছিয়া খাতুনের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র অপহরণ করে সোনারাম গ্রামের সুমন এর বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি আয়না ঘর স্থাপন পুর্বক সেখানে দীর্ঘ ৫ মাস বন্দী রাখে। এঘটনায় স্বামী মনছুর আলী বাদী হয়ে প্রথম স্ত্রী আছিয়া খাতুনসহ ১৩জনকে আসামী করে রায়গঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। পরে সেই মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপহরণকারী সংঘবদ্ধ চক্রের কু-প্ররোচনায় গৃহবধূ আছিয়া খাতুন প্ররোচিত হয়ে নিজের মাথা কেটে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দালল চক্রের মাধ্যমেই ৩২৬ ধারার একটি এমসি গ্রহন পুর্বক স্বামী মনছুর আলীসহ একই গ্রামের সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরই একপর্যায়ে অপহরণ মামলার সুত্রধরে দীর্ঘ ৫মাস পর অপহৃত শিল্পী খাতুনকে রায়গঞ্জের আলোচিত আয়না ঘর থেকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ পাঠায়। আর এসুযোগে আছিয়া খাতুন পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। এদিকে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে আছিয়া খাতুন হাইকোর্ট থেকে ২মাসের জামিন নিয়ে এসে সেই সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় নিজ স্বামীকে সেই মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলাটি রায়গঞ্জ থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মামলাটি মুলতঃ গৃহবধূ শিল্পী খাতুন অপহরণ ঘটনাকে ধামাচাপাসহ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা ছিলো,সেহেতু মিথ্যা এ মামলায় যেন নিরপরাধ স্বামী মনছুর আলীসহ আরেক ভুক্তভোগী সানোয়ার হোসেন হয়রানীর শিকার না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে রায়গঞ্জ থানা পুলিশের নিকট তারা ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।