গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল খেলোয়াড় বাছাই পর্ব। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় ২৩০ জন তরুণ ফুটবলার দুইটি ভেন্যুতে অংশ নেন এই বাছাইয়ে। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাছাই করা ৩০ জন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে পরবর্তী পর্যায়ের প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হয়।
বাছাই পর্ব শেষে ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ফুলবাড়ীয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলাটিকে ঘিরে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
প্রীতি ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্লাহ কাজল। পুরো আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া অফিসার আল আমিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, মাদকমুক্ত প্রজন্ম গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, এই খেলায় তরুণদের সম্পৃক্ততা তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে ক্রীড়ার মাধ্যমেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আমরা চাই ময়মনসিংহ থেকেই উঠে আসুক জাতীয় পর্যায়ের সেরা খেলোয়াড়রা।
প্রাথমিক বাছাইয়ের পর নির্বাচিত ৩০ জন খেলোয়াড়কে জেলা ক্রীড়া অফিসের তত্ত্বাবধানে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশ নিতে হবে। এই প্রশিক্ষণ শেষে সেরা খেলোয়াড়দের জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া পরিদপ্তর আয়োজিত ডেভেলপমেন্ট ও বিচ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
জেলা ক্রীড়া অফিসার আল আমিন জানান, আমরা জেলা থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি করতে চাই। যারা এই পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে, তারাই পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পাবে।
দিনব্যাপী এই আয়োজনকে ঘিরে ফুলপুর ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত দর্শক মাঠে উপস্থিত হন। বাছাই ও প্রীতি ম্যাচ শেষে বিজয়ী খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ক্রীড়াবিদ ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে আয়োজকরা জানান, তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রেখে ক্রীড়ামুখী সমাজ গঠনে এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।