কাজিপুরে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন নেতার গণমাধ্যমে নির্বাচনী ভাবনা প্রচার
মাহমুদুল হাসান শুভ কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদরের চার ইউনিয়ন) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন নেতা গণমাধ্যমে তাঁদের নির্বাচনী ভাবনা তুলে ধরেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল দশটায় উপজেলার মেঘাই আহম্মেদ আলী এতিমখানা মাঠে একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে নির্বাচনী ভাবনা তুলে ধরে সাক্ষাৎকার দেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা। তিনি বলেন, আমি একজনন ত্যাগী নেতা। অনেকবার দলের জন্যে জেল খেটেছি। বেশ কয়েকবার দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছিলাম। তখন পাইনি। এবার আশা করছি দল আমাকেই মনোনয়ন দেবেন। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আমি এলাকার বেকার সমস্যা দূরীকরণে সচেষ্ট হবো। যমুনা চরের ৬ ইউনিয়নের জন্যে নদী ভাঙনরোধ কল্পে ব্যবস্থা নেবো। এলাকার শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে বেকার হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করতে সচেষ্ট হবো। এসময় তাঁর অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া বাজারে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, আমি এলাকার মেয়ে। কাজিপুরে আমার শেকড়। এর আগে ২০১৮ সালে দল আমাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিয়েছিলো। কিন্তু তখন নির্বাচনের নামে প্রহসন হওয়ায় এলাকাতেই ঢুকতে পারিনি। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে এবারও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণকে সাথে নিয়ে উন্নয়নমুখী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।চরাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়ে নদীকে শাসনে সচেষ্ট হবো।জনগণের কল্যাণমূলক নানা প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে কাজিপুরকে নতুনরূপে সাজাতে কাজ করে যাবো।
এরপর বেলা দুইটায় কাজিপুরের আলমপুর চৌরাস্তা মোড়ে নির্বাচনী ভাবনা তুলে ধরেন মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। তিনি বলেন, আমি কাজিপুরের সন্তান। বিগত ১৭ বছর দলের জন্যে জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। আমার ৮৫ বছর বয়স্কা মাকে ওরা ফেলে দিয়ে লাঠি দ্বারা আঘাত করেছে। আমার ভাইকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। তবুও এক মুহূর্তের জন্যে দলীয় নেতাকর্মিদের ছেড়ে যাইনি। দলীয় যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে কর্মিদের পাশে থেকেছি। তাই এবার কাজিপুরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে মাঠে রয়েছি। দল আমাকে ২০২০ সালের উপনির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছিলো। তখনতো ঘর থেকে বের হলেই হামলার শিকার হতে হয়েছে। আশা করি দল জনসমর্থন বিবেচনা করে আমাকে এমপির মনোনয়ন দেবেন।মনোনীত হলে আমি চরাঞ্চলবাসীর দাবী যমুনা নামের পৃথক উপজেলা গঠনে ভূমিকা রাখবো। নদী ভাঙনরোধ করে নদীতীর দিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণের স্থবির প্রকল্প চালুর বিষয়ে সচেষ্ট হবো। বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এলাকায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসারে কাজ করে যাবো।এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার মাধ্যমে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে কাজিপুর হারানো সুনাম ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবো।এসময় উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সেলিম রেজার কয়েক হাজার সমর্থক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছাস দেখা গেছে। # (ছবি আছে)
মাহমুদুল হাসান শুভ , কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ
১৩/১০/২৫ ০১৭৯২৯৯৭৫৪৩








