নিরীক্ষান্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় শতভাগ পুনর্বাসন -বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন সভায়’ নিরীক্ষান্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে শ্রমের সাথে জড়িত শিশুদেরকে শতভাগ পুনর্বাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত উঠে আসে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ জানান, অর্থনৈতিক কষ্ট ও দারিদ্র্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্কুল থেকে ঝরে পড়া ইত্যাদি কারণে শিশুরা শ্রমে জড়িত হয়। শ্রমে জড়ানোর পিছনে কোন না কোন কারণ থাকে। সে কারণগুলো খোঁজে বের করা আমাদের জরুরি। সে মোতাবেক নিরীক্ষান্তে শিশুগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা আবশ্যক। পরিকল্পনার মাধ্যমে সেবাদানকারী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সহযোগিতায় এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারকে মোটিভেশনের মাধ্যমে শিশুশ্রম নিরসন করা যেতে পারে।
শিশুদের আর্থিক সাহায্য প্রদানে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে জড়িত করে, শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার মাধ্যমে, শিশুকে শ্রমের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। এলাকা নির্ধারণ ও জরিপ, স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করলে এর অগ্রগতি দ্রুত হবে। শিশুর ওপর কেস স্টাডি করে শিশুর আসল চাহিদা নিরূপণ করে, সেই আঙ্গিকে কাজ করতে হবে। শিশুশ্রম নামক সামাজিক ব্যাধিকে রোধ করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, এমন মতামত উঠে আসে সভায়।
সভাপতি বলেন, আমরা যারা দায়িত্বে আছি, শিশুশ্রম নিরসনে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছি, আগামীতে কতটুকু অগ্রগতি হলো, সে বিষয়ে আগামীতে আরো শুনবো। তবে শিশুশ্রম নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দ্রুতই পুনর্বাসনের ফলাফল চাই। মাঠ পর্যায়ে নিরীক্ষা করে সম্মিলিতভাবে কাজ করেন, তাহলে শতভাগ সফল হওয়া সম্ভব।
সভায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক এর প্রতিনিধি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ময়মনসিংহের উপমহাপরিদর্শক, বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, জামালপুরের উন্নয়ন সংঘের প্রতিনিধি, ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।








