রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কেওয়াটখালী ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মনিরুল ইসলামের ষোল লক্ষ ছেষট্টি হাজার আটশত নব্বই টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফুলবাড়িয়ায় প্রবাসী পরিবার মানবিক সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী উৎযাপন ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন -মামুনুর রশিদ মামুন এদেশে কোন সংখ্যালঘু থাকবে না, আমরা সবাই বাংলাদেশী -অধ্যক্ষ মু.কামরুল হাসান মিলন বিএনপির পদ ব্যবহার করে কোন অবৈধ দাবি ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়,তা মেনে নেবেন না -আখতারুল আলম ফারুক ফুলবাড়িয়ায় ঈদ উৎযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন -বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম বাদল ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক

তাড়া‌শে কামার পল্লীেতে ঘুমায় না রাতেও টুংটাং শ‌ব্দে মুখ‌রিত

প্রতিবেদকের নাম : / ৩৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জের তাড়া‌শের কামার পল্লীর কা‌রিগররা ব‌্যস্ত সময় পার কর‌ছেন। যে‌হেতু আর ক‌য়েক‌দিন প‌রেই ঈদুল আযহা তাই ঈ‌দের চা‌হিদার কথা বি‌বেচনা ক‌রে চাপা‌তি, চাকু, ব‌টিসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরী‌তে ব‌্যস্ত সময় কাটা‌চ্ছেন। বছ‌রের এই সময়টায় চা‌হিদা বেশী থাকায়, কামাররা ভা‌লো উপার্জন ক‌রে থা‌কেন। যে‌হেতু কোরবা‌নির পশু কাটাকা‌টি‌তে চাই চাপা‌তি, ধারা‌লো চাকু, ব‌টি। কয়লার চুলার দগদ‌গে আগু‌নে গরম লোহার পিটা‌পি‌টি‌তে টুংটাং শ‌ব্দে মুখর হ‌য়ে উঠে‌ছে তাড়াশ উপ‌জেলার কামারশালা গু‌লো।
কোরবা‌নির ঈদ এ‌লে আশায় বুক বাঁ‌ধে তারা, কারণ এসময় তা‌দের বাড়‌তি আয় হয়। কোরবা‌নির সময় পশু জবাই ও কাটাকু‌টি জন‌্য লোহার তৈরী চাকু, ব‌টি, চাপা‌তির প্রয়োজন হয়। তাই এসব জি‌নি‌সের চা‌হিদাও বে‌ড়ে যায় বহু গুন, সঙ্গত কার‌নে এইসব জি‌নিস তৈরী করার জন‌্য কামার‌দের দম ফেলার ফুসরত থা‌কে না। চাপা‌তি প্রতি পিস বি‌ক্রি হয় ৭০০ থে‌কে ১১০০ টাকা, ব‌টি ৪৫০ থে‌কে ৮৫০টাকা, ছু‌রি ২৫০থে‌কে ২৫০০ টাকা। আবার কেউবা পু‌রো‌নো চাকু, বাট‌‌িতে শান দেয়ার জন‌্য কামার‌দের শরনাপন্ন হ‌চ্ছেন। তাড়াশ উপ‌জেলার ৮ টি ইউ‌নিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় র‌য়ে‌ছে অ‌নেকগু‌লো কামারশালা।
কা‌জের ব‌্যস্ততা সম্প‌র্কে পৌর সদ‌রের মা‌নিক কামার ব‌লেন, সারা বছর খুব একটা কাজ কর্ম থা‌কেনা। ঈ‌দের এই সময়টার জন‌্য আমরা অ‌পেক্ষায় থা‌কি। কারন এই সম‌য়ে আমরা বাড়‌তি কিছু আয় ক‌রি যা দি‌য়ে সারা বছ‌রের সংসারের অন‌্য খরচ মেটাই। প্রায় সকল গ্রাহকই শেষ সময় এ‌সে চাপ দেয়, ত‌বে য‌দি তারা কিছু‌দিন আগ থে‌কে আস‌তেন তাহ‌লে আমা‌দের সু‌বি‌ধে হ‌তো। বর্তমা‌নে দি‌নে রা‌তে সমান ভা‌বে কাজ কর‌ছি, নাওয়া খাওয়ার সময়ও পা‌চ্ছি না! তারপ‌রও প‌রিবা‌রের কথা চিন্তা ক‌রে ঈ‌দের আ‌গের রাত পর্যন্ত এভা‌বে কাজ ক‌রে যাব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

পুরাতন সব খবর