৫৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়েও হজে যেতে পারলনে না দুই উপজেলার ১১জন হজ যাত্রী

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
অনেক ইচ্ছা ছিলো আকাশ পথে উড়াল দিয়ে হজ পালন করতে যাবেন। কিন্তু দুই উপজেলার ১১ জন হজ যাত্রীদের সেই আশা আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন নিমিষেই দুঃস্বপ্ন করে দিলেন
আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস নামের একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠান। কথা ছিল পাঁচ লক্ষ টাকার চুক্তিতে হজে নিয়ে যাবেন। উপার্জনের সমস্ত পুঁজি প্রতারককে দিয়ে দিন গুণছিলেন নবীর দেশে যাওয়ার, অপেক্ষা করছিলেন পাসপোর্ট ও ভিসার জন্য। কিন্তু ১১ জন হজ যাত্রীদের সেই আশায় গুড়েবালি। ১১জন হজ যাত্রীর সর্বমোট ৫৫লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস সেন্টারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ও নন্দীগ্রাম উপজেলার সর্বমোট ১১জন হজ যাত্রী হজে যাওয়ার জন্য আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস সেন্টারের সাথে ৫লক্ষ টাকা করে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক দুই উপজেলার ১১ জন হজ যাত্রীদের পাসপোর্ট ও ভিসার জন্য ১১ জনের নিকট থেকে ৫৫ লক্ষ টাকাও নেয়। টাকা দেওয়ার কিছুদিন পেরোলেও হজের নিবন্ধন, ভিসা, টিকেট হাতে দেওয়ার কোন পদক্ষেপ দেখা না দিলে হজ যাত্রীরা ভিসা, টিকেট সম্পর্কে হজ কাফেলার কর্মিদের কাছে জানতে চাইলে তারা তালবাহানা করতে থাকে। এদিকে আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এবং কর্মি মো. রুকুন
উদ্দীন ও আল আমিন বার বার ফ্লাইট তারিখের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। শেষমেষ হঠাৎ করেই আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিসের কর্মীরা ১১জন হজ্ব যাত্রীদের ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
প্রতারিত হজ্জযাত্রীরা হলেন শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের হেলাল উদ্দীন,একই গ্রামের হাফেজ মজনু মিয়া,মাহবুবুল আলম,নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হোসেয়ারপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম, একই গ্রামের রুহুল আমিন প্রমুখ। প্রতারণার শিকার এসব হজযাত্রীরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়াসহ নির্বিঘ্নে হজ ব্রত পালনের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে আরমান-আবির হজ সার্ভিস সেন্টারের কর্তৃপক্ষদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।