শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু সলঙ্গায় জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দিনাজপুরে আটক ধুবিল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক সলঙ্গায় বক পাখি অবমুক্ত করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোটের মাঠে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ সিংড়া ডিজিটাল অনলাইন প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি অনুমোদন; সভাপতি আবুল বাশার, সম্পাদক আমিনুল হক বৈষম্য ও জুলুমমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আট দলের অঙ্গীকার : ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যা বললেন সেলিম রেজা

পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল কর্তৃক প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন, সংরক্ষণের দাবী

প্রতিবেদকের নাম : / ২৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ

আজ (০৬ আগস্ট ২০২৫) তারিখ বেলা ১১ ঘটিকায় পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর একটি প্রতিনিধি দল ময়মনসিংহ নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুল এলাকায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল জানান যে, ইউরোপে ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মুদ্রণ শিল্পের প্রসার ঘটে।

বিশেষ করে ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান উদ্ভাবক জোহানেস গুটেনবার্গ কর্তৃক ধাতব চলনশীল অক্ষর ব্যবহার করে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর হতে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। ভারতীয় উপমহাদেশে ছাপাখানার প্রসার ঘটে পর্তুগিজদের হাত ধরে। ১৫৫৬ সালে গোয়ায় পর্তুগিজরা প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করে। এরপর ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তি ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুদ্রণ শিল্প প্রসারিত হতে থাকে। যার প্রভাব প্রাচীন নগরী ময়মনসিংহেও পড়ে।

এই মুদণযন্ত্রটি ১৬৯৯ সালে নির্মিত, যা মুদ্রণ শিল্পের অনন্য নিদর্শন। পূর্ব প্রজন্মের প্রগতিশীল মানুষদের হাত ধরে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির ময়মনসিংহে আগমন ঘটে। বর্তমানে যে ডিজিটাল মুদ্রণযন্ত্রের ব্যাপ্তি ঘটেছে তা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই ঘটেছে। প্রাচীন নিদর্শন থেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাত ধরে আধুনিক যন্ত্রের বিকাশ ঘটে। প্রাচীন পুরাকীর্তির নিদর্শন দৃশ্যমান থাকলে প্রজন্ম চাক্ষুষভাবে জানতে পারে তার ক্রমবিকাশের উৎকর্ষতার ইতিহাস।

আজ অতীব দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, ময়মনসিংহ নগরীতে ১৬৯৯ সালে তৈরিকৃত প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। যদি এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে প্রদর্শন করা হতো তাহলে প্রজন্ম জানতে পারতো প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র কেমন ছিল। কিভাবে মুদ্রণের কাজ হতো। ময়মনসিংহ শহরে কবে থেকে মুদ্রণ শিল্পের যাত্রা শুরু হয় সে ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেত। কিন্তু আজ অবহেলায় পড়ে থাকায় তা জানা থেকে প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে।

সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিদর্শন দল আরো জানান যে, পুরাকীর্তির নিদর্শন অমূল্য প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি উন্মুক্ত স্থানে অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এর অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। যদি এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

পুরাকীর্তির নিদর্শন স্বরুপ প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক যেন অচিরেই জাদুঘরে স্থানান্তরের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর পরিদর্শন দল কর্তৃক ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানানো হয়।

প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর সভাপতিমণ্ডলী সদস্য অধ্যাপক স্বপন ধর, আব্দুল কাদের চৌধুরী, কবি সরকার আজিজ, গোলাম ফারুক লিটন, মো: নুর আলী চিশতি, সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ, কার্যকরী সদস্য কবি আফতাব আহমেদ মাহবুব, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সাংবাদিক শফিয়েল আলম সুমন, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন আল মাছুম, মো: এনামুল কবীর, নিহার রঞ্জন দাস প্রমূখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর