শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যু সলঙ্গায় জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি দিনাজপুরে আটক ধুবিল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সিংড়ায় প্রফেসর সাইদুর রহমানের পক্ষে জামায়াতের উঠান বৈঠক সলঙ্গায় বক পাখি অবমুক্ত করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোটের মাঠে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ সিংড়া ডিজিটাল অনলাইন প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি অনুমোদন; সভাপতি আবুল বাশার, সম্পাদক আমিনুল হক বৈষম্য ও জুলুমমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আট দলের অঙ্গীকার : ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যা বললেন সেলিম রেজা

ভালোবেসে বিয়ে, তিন মাস পর লাশ হয়ে ফিরলো সুমী খাতুন 

প্রতিবেদকের নাম : / ৬১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চকমির্জাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে ও সিরাজগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমী খাতুন (২২) তিন মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী রোকনপুর দামরা গ্রামের মৃত: রফিকুল ইসলামের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ বিএ কলেজের শিক্ষার্থী সজীব হাসান (২৪) কে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেনে নিতে আপত্তি তোলে সজীবের পরিবার। পরবর্তী‌তে আত্মীয় স্বজনের মধ্যস্তায় উভয় পরিবার তাদের বি‌য়ে মেনে নেয়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল আনুমানিক তিন টার দিকে সুমী খাতুন তার স্বামীর সাথে শশুর বাড়িতে আসেন। বিকেল চারটার দিকে সজীবের পরিবার পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে সুমীর পরিবার কে জানায়, সুমী খাতুন ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে সুমী খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সুমীর বাবা রেজাউল করিম বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস. এম সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, সন্ধ্যায় সুমী খাতুন নামের এক রোগী কে কয়েকজন লোক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে, তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর শেরপুর থানার পুলিশ এসে লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন মাসুদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে সুমী খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে লাশ নিয়ে আসার সময় লাশের সাথে আসা পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর