নারী ধর্ষণ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় টাকা আত্মসাৎ: পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, আসল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে!
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ
গত ১৪ অক্টোবর রাতে পরানগঞ্জে এক নারী যাত্রী মোবাইল ছিনতাই ও জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি পরবর্তীতে থানা পর্যন্ত গড়ালেও, এর সুযোগ নিয়ে ‘মিষ্টার’ নামের এক ব্যক্তি পুলিশের নাম ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী নারী সাহারা খাতুন (২২), যিনি বোররচর ইউনিয়নের বাগেরকান্দা এলাকার ফজর আলীর মেয়ে, পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়াপাড়া গ্রামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ১৪ অক্টোবর পরানগঞ্জে আসেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সেখানে প্রথমে ঐ ছেলে তার কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং পরবর্তীতে সহযোগিতার কথা বলে গাড়িতে তুলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অটু গাড়ির ডাইভার ও তার সাথে কইজন সহযোগী। এরপর তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটিও ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত জমির কসাইয়ের ছেলে ‘মিষ্টার’ তার গ্যাং বাহিনী নিয়ে নতুন এক জালিয়াতির জাল ফাদেঁ। অভিযোগ উঠেছে, মিষ্টার ও তার দল ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এখানেই শেষ নয়, মিষ্টার মেয়ে এবং ছেলের পরিবার উভয়ের কাছ থেকেও পুলিশকে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিষ্টার সম্পূর্ণ দায় পুলিশের উপর চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন, টাকা আমাকে দিয়ে পুলিশ নিছে, আমি নেই নাই।
এদিকে, এএসআই আতিক ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছেন বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দুই পক্ষের কাছ থেকে পুলিশের নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং এর সাথে জড়িত ‘মিষ্টার’ এবং তার গ্যাং-এর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের নামে কারা টাকা নিলো? আর এই জালিয়াতির জন্য দায়ী ‘মিষ্টার’ কেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে? ছিনতাই ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারের পাশাপাশি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করার এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি রাখে। দ্রুত এই প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় এনে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী পরিবার ও সাধারণ জনগণের।








