সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বগুড়ার সরঃ আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক শাকিল, সিনিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব ও সদস্য সচিব আল আমিন বিগত সময়ের জনপ্রতিনিধিরা এখানে কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করেননি-আখতারুল আলম ফারুক কেওয়াটখালী ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মনিরুল ইসলামের ষোল লক্ষ ছেষট্টি হাজার আটশত নব্বই টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফুলবাড়িয়ায় প্রবাসী পরিবার মানবিক সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী উৎযাপন ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন -মামুনুর রশিদ মামুন এদেশে কোন সংখ্যালঘু থাকবে না, আমরা সবাই বাংলাদেশী -অধ্যক্ষ মু.কামরুল হাসান মিলন বিএনপির পদ ব্যবহার করে কোন অবৈধ দাবি ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়,তা মেনে নেবেন না -আখতারুল আলম ফারুক ফুলবাড়িয়ায় ঈদ উৎযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন -বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম বাদল

জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না, দৈনিক বিক্রি লাখ-টাকার উপরে

প্রতিবেদকের নাম : / ১৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ

ময়মনসিংহে জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপি কিনতে মানুষের ভিড়, পবিত্র রমজানে ময়মনসিংহের ভোজন প্রিয়দের কাছে ইফতার আইটেমের অন্যতম উপকরণ নগরীর জিলা স্কুল মোড় এলাকার জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপি। দিন দিন এই জিলাপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় চলতি রমজানে দৈনিক এক থেকে দেড় লাখ টাকার জিলাপি বিক্রি হয় এই দোকানে।

সম্প্রতি নগরীর জিলা স্কুল মোড়ের জাকির হোসেনের ‘মেহেরবান’ হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, টক-মিষ্টি জিলাপি কিনতে মানুষের ভিড় জমেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা এই জিলাপির স্বাদ নিতে এসেছেন। অথচ তখন অন্যান্য ইফতারের দোকানগুলো মাত্র সাজিয়ে বসতে শুরু করেছে।

জানা যায়, জাকির হোসেন জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট জাকিরের স্কুলের বারান্দায় হাঁটার সৌভাগ্য হয়নি। অভাবের তাড়নায় ১৯৭৩ সালে শহরে এসে মইনুল হোসেনের চায়ের দোকানে কাজ নেন। এর এক বছর পর নগরীর জিলা স্কুল মোড়ের হোটেল মেহেরবানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন এই দোকানটির মালিক ছিলেন নগরীর বাসিন্দা মইনুল হোসেন। ১৯৯৩ সালের দিকে তিনি হোটেল চালাতে না পেরে জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেন। এর পরের বছর টক-মিষ্টি জিলাপি তৈরি করেন জাকির।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সময়ের ব্যবধানে শহরজুড়ে বহু জিলাপির দোকান গড়ে উঠেছে। রমজান এলে বিভিন্ন জমকালো রেস্তোরাঁসহ অলিগলিতে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেটি জাকির হোসেনের তৈরি টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না। ফলে এখনো দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ঐতিহ্যের এই জিলাপি।

জিলাপি কিনতে আসা মাহফুজ বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত এই জিলাপি কিনে খাচ্ছি। অন্য সব জিলাপি থেকে এ জিলাপির স্বাদ আলাদা। জিলাপি চিবোতে শুরু করলেই পাওয়া যায় মচমচে, রসালো, টক-মিষ্টি একটা স্বাদ। যা খুবই ভালো লাগে। ফলে রমজান এলে এই দোকান থেকে জিলাপি নিয়ে যাই। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতারে মজা করে খাওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

পুরাতন সব খবর