সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বগুড়ার সরঃ আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক শাকিল, সিনিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব ও সদস্য সচিব আল আমিন বিগত সময়ের জনপ্রতিনিধিরা এখানে কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করেননি-আখতারুল আলম ফারুক কেওয়াটখালী ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মনিরুল ইসলামের ষোল লক্ষ ছেষট্টি হাজার আটশত নব্বই টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফুলবাড়িয়ায় প্রবাসী পরিবার মানবিক সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী উৎযাপন ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন -মামুনুর রশিদ মামুন এদেশে কোন সংখ্যালঘু থাকবে না, আমরা সবাই বাংলাদেশী -অধ্যক্ষ মু.কামরুল হাসান মিলন বিএনপির পদ ব্যবহার করে কোন অবৈধ দাবি ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়,তা মেনে নেবেন না -আখতারুল আলম ফারুক ফুলবাড়িয়ায় ঈদ উৎযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন -বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম বাদল

অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় এসএসসির প্রবেশপত্র পায়নি শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদকের নাম : / ৪৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ

অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখা অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ সদরের রেনেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরীক্ষার আগের দিন বুধবার দুপুর ২টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসএসসি পরীক্ষার সব সরকারি ফি পরিশোধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর এক টাকাও বকেয়া নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রবেশপত্র আটকে রেখেছেন। আগামীকাল পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক প্রবেশপত্র না দিয়ে তার বাসায় নিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও এক ছাত্রীর অভিভাবক মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যেসব ছাত্রী উপবৃত্তি পায় তাদের কাছে অতিরিক্ত ১৬০০ টাকা দাবি করেন প্রধান শিক্ষক। আর যারা উপবৃত্তি পায় না তাদের কাছে দাবি করেন ২ হাজার টাকা। এই টাকা না দিলে তিনি প্রবেশপত্র দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

আরেক অভিভাবক মমতাজ মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে বিদ্যালয় কোনো টাকা পায় না। অতিরিক্ত টাকার জন্য প্রবেশপত্র আটকে রাখা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, ছাত্রীরা আগেই সব টাকা পরিশোধ করেছে। প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রবেশপত্র আটকে রেখেছেন। আমি সকালে এসে দেখি শিক্ষার্থীরা এখানে বিক্ষোভ করছে। পরে স্কুলের পিয়নের কাছে শুনলাম তিনি প্রবেশপত্র বাসায় নিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত টাকা তার বাসায় পৌঁছে দিলে তিনি প্রবেশপত্র দেবেন বলে জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু সায়েম হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটি সত্য হলে প্রধান শিক্ষককে পুলিশে দেওয়া দরকার। আমি শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব সাখাওয়াত হোসেন বলেন, টাকার জন্য কোনো পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আটকে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে আমরা শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে প্রবেশপত্র দিয়ে আসব। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম এর নজরে আসে। পরে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর পদক্ষেপেই মাধ্যমিক অফিসার, সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার প্রবেশ পত্র হাতে পেয়ে খুশি হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

পুরাতন সব খবর