সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বগুড়ার সরঃ আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক শাকিল, সিনিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব ও সদস্য সচিব আল আমিন বিগত সময়ের জনপ্রতিনিধিরা এখানে কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করেননি-আখতারুল আলম ফারুক কেওয়াটখালী ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মনিরুল ইসলামের ষোল লক্ষ ছেষট্টি হাজার আটশত নব্বই টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফুলবাড়িয়ায় প্রবাসী পরিবার মানবিক সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী উৎযাপন ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন -মামুনুর রশিদ মামুন এদেশে কোন সংখ্যালঘু থাকবে না, আমরা সবাই বাংলাদেশী -অধ্যক্ষ মু.কামরুল হাসান মিলন বিএনপির পদ ব্যবহার করে কোন অবৈধ দাবি ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়,তা মেনে নেবেন না -আখতারুল আলম ফারুক ফুলবাড়িয়ায় ঈদ উৎযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন -বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম বাদল

সিরাজগঞ্জে ভাতিজীকে বিয়ে করলো চাচা

প্রতিবেদকের নাম : / ২১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

ফিরোজ আল আমিন

স্টাফ রিপোর্টার

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের কুতুব উদ্দিন নামে এক প্রভাষক ১৪ বছর বয়সী আপন ভাতিজীকে জোরপুর্বক বিয়ে করেছেন। কুতুব উদ্দিন চন্দ্রকোনা গ্রামের মৃত নুরুল হক পীর সাহেবের ছেলে এবং শাহজাদপুর সরকারী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। এ ঘটনায় এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠেছে। একই সাথে কুতুব উদ্দিনের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে কুতুব উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই লম্পট প্রকৃতির। কয়েক বছর যাবত তার আপন চাচাতো বড় ভাই ডা. ইসমাইল হোসেনের মেয়ের দিকে কুনজর দেয়। বিভিন্ন সময় খারাপ প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি নলসিয়াপাড়া একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। মেয়েটির বাবা অসুস্থ হওয়ায় বিভিন্ন সময় দুর্বলতার সুযোগ নিতে থাকে। এমনকি চাচা হয়েও ভাতিজীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু চাচার সাথে মেয়েটিকে বিয়ে দিবে না বলে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ অবস্থায় ৫-৬দিন আগে পাগলামি করে মেয়ের পরিবারকে ব্লাকমেইল করে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ী রায়গঞ্জে নিয়ে গিয়ে ২লাখ টাকা কাবিন দিয়ে শিশু মেয়েটিকে জোরপুর্বক বিয়ে করেন। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় ওঠেছে। ৪০ বছর বয়সী একজন প্রভাষক ছেলে কিভাবে ১৪ বছরের শিশু এমনকি সম্পর্কে ভাতিজীকে বিয়ে করে তা নিয়ে কানাঘোষা শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, এসব লোকজন সমাজের কীট-পতঙ্গ। এদের জন্য সমাজ কলুষিত হচ্ছে। এসব নারীলোভী দুশ্চরিত্রের লোকের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।মেয়েটির মা জানান, কুতুব উদ্দিন ছোট বেলা থেকেই জাইর‌্যা। অনেকদিন ধরে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিতো। বিয়ে করার জন্য আমাদের চাপ দিতো। কিন্তু সম্পর্কে চাচা ও বয়স বেশি হওয়ায় আমরা রাজি হইনি। এমনকি কুতুবের মাও রাজি না। এ অবস্থায় বিভিন্ন সময় আমাকে আর্মি-পুলিশের ভয় দেখায়। কুতুব বলে আর্মি-পুলিশ সব আমার, কেউ কিছুই করতে পারবে না। তাহলে আমি কি করব? এছাড়াও বিয়ে না দিলে খাওয়া-দাওয়া করবেনা বলে নানা ধরনের পাগলামি করে ব্লাকমেইল করতে থাকে। তিনি আরো জানান, বিয়েতে মেয়ে রাজি ছিল না। কিন্তু কুতুব উদ্দিনের পাগলামির কারনে আমি ও মেয়ের মামা ও মামি মেয়েকে বুঝিয়ে রাজি করেয়েছি। কুতুবের মা মেনে নিবে না যে কারনে কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জে গিয়ে গোপনে ২ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে মেয়েকে কুতুবের সাথে বিয়ে দিয়েছি। তবে কুতুব উদ্দিনের মা জানলেও এখনো মেনে নেয়নি বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, এখন যা হবার হয়েছে, দুজন সংসার করলেই ভাল।তবে কুতুব উদ্দিন বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমি বিয়ে করিনি। এটা মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

পুরাতন সব খবর