রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কেওয়াটখালী ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মনিরুল ইসলামের ষোল লক্ষ ছেষট্টি হাজার আটশত নব্বই টাকা নিয়ে উধাও এরশাদ আলী নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফুলবাড়িয়ায় প্রবাসী পরিবার মানবিক সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী উৎযাপন ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন -মামুনুর রশিদ মামুন এদেশে কোন সংখ্যালঘু থাকবে না, আমরা সবাই বাংলাদেশী -অধ্যক্ষ মু.কামরুল হাসান মিলন বিএনপির পদ ব্যবহার করে কোন অবৈধ দাবি ও জনস্বার্থের বিরুদ্ধে যায়,তা মেনে নেবেন না -আখতারুল আলম ফারুক ফুলবাড়িয়ায় ঈদ উৎযাপন উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উদ্বোধন করেন -বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাইফুল ইসলাম বাদল ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক

সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে হাতিয়ে নিলেন কয়েক লক্ষ টাকা

প্রতিবেদকের নাম : / ২৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

এমএম বুলবুল আহমেদ স্টাফ রিপোর্টার

সেনাবাহিনীর সিভিলে স্টোর কিপার এবং মালি পোস্টে চাকরি দেওয়ার কথা বলে। কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। ভুক্তভোগী মোঃ রতন মিয়া। বিমল চন্দ্র দাস। জাকারিয়া হোসেন।এবং লিপেস চন্দ্র দাস। ভুক্তভোগীরা জানান। তারা প্রত্যেকেই গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা সবাই একই গার্মেন্টসে চাকরি করেন।ওই গার্মেন্টস এর এক মেয়ে অপারেটর। এর সাথে তাদের পরিচয় হয়। এবং একসাথে চাকরি করার সুবাদে ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ওই মেয়ের নাম সুরাইয়া। ওই মেয়ে তাদের বলে তার বড় ভাই। সাভার সেনা ক্যান্টরমেন্টের ওয়ারেন্ট অফিসার। নাম জিয়া তিনি অনেক। অনেক লোককে সেনাবাহিনীর সিভিলে চাকরি নিয়ে দিয়েছেন। যদি তাদের পরিচিত কেউ থাকে তাহলে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলে চাকরি নিয়ে দিতে পারবে। তখন ভুক্তভোগীরা। সুরাইয়ার মাধ্যমে ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়ার সাথে যোগাযোগ করার। এবং সাভার নবীনগর স্মৃতিসৌধে তারা দেখা করে। জিয়া তাদের বলেন। আমি সবাইকে চাকরি দিয়ে দেব বিনিময়ে। প্রত্যেক জন আমাকে সাত লক্ষ করে টাকা দিতে হবে। প্রথম অবস্থায় তাকে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। এবং নিয়োগপত্র হাতে দেওয়ার পরে বাদ বাকি টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগীরা তার কথায় রাজি হয়ে যান। বিমল চন্দ্র দাস ও।রতন মিয়া। প্রত্যেকে আড়াই লক্ষ করে টাকা দেন। এবং জাকারিয়া হোসেন।সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় ধারী ব্যক্তিকে।আরো ৭০ হাজার টাকা দেন। জিয়া জানান যেদিন নিয়োগ পত্র দেবো সেদিন বাদ বাকি টাকা আমাকে দিতে হবে। ভুক্তভোগীরা তার কথায় রাজি হয়ে যান। ভুক্তভোগী মোঃ জাকারিয়া হোসেন কে প্রথম নিয়োগপত্র প্রদান করে। জাকারিয়া হোসেন সবাইকে জানান আমার চাকরি হয়ে গেছে আমি নিয়োগ।পত্র পেয়েছি। তখন তারা নিয়োগ পত্রটি পেয়ে যাচাই বাছাই করলে। দেখতে পায় নিয়োগ পত্রটি ভুয়া। বিষয়টি। জেনে গেলে। সবাই জিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। তখন জিয়া বিষয়টি। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং বলে। নিয়োগ পত্র ভুল হয়েছে আমি ঠিক করে দিব। এরপরে ভুক্তভোগীরা চাকরি নিতে না চাইলে।ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা চাকরি করতে চাই না আমাদের টাকা আমাদের ফিরিয়ে দেন। তখন জিয়া বিভিন্ন টালবাহানা করে এবং বিভিন্ন সময় নেয়। কিন্তু কোন টাকাই দেয় না। জিয়া টাকা না দিয়ে ভুক্তভোগীদের হুমকি এবং ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি। জিয়া এখনো ভুক্তভোগীদের ফোন এবং মোবাইল কোনটাই ধরে না এবং তার সাথে যোগাযোগ করে না। বাধ্য হয়ে তারা আইনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান। দু-একদিনের মধ্যে জিয়ার দেয়া নিয়োগপত্র এবং তার ছবি নিয়ে। সাভার। সেনা ক্যান্টনমেন্টে যাবেন।ভুক্তভোগীরা জানান তারা শুনতে পেরেছে এরকম আরো লোকের কাছ থেকে জিয়া অনেক টাকা নিয়েছে। এবং ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি। যেহেতু তারা প্রত্যেককে গার্মেন্টস শ্রম। তারা তাদের কষ্টের টাকা ফেরত চায়। এবং অপরাধী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। তারা সরকারিভাবে এবং প্রশাসনিকভাবে সহযোগিতা কামনা করে। যাতে তারা তাদের কষ্টের অর্জিত টাকা ফেরত পায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর

পুরাতন সব খবর